ছাপা 

কানাডায় বর্ণাঢ্য বৈশাখী মেলা, আলোচনা ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

বাংলা নববর্ষ ১৪২১ উপলক্ষেবাংলাদেশ হেরিটেজ এন্ড ইথনিক সোসাইটি অব আলবার্টা আয়োজিত বর্ণাঢ্য বৈশাখী মেলা, এক আলোচনা ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কানাডার এডমন্টন সিটির প্লিজেন্ট ভিউ হলে বিকেল থেকে রাত বারোটা অবদি নারী-পুরুষ ও শিশু কিশোরদের  ঢল নেমে এসে ছিলো। ছিলো উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কানাডীয়ানদের উপস্থিতি, ছিলো কানাডা সরকার প্রধান থেকে শুরু করে প্রাদেশিক সরকারের প্রিমিয়ার, স্পীকার, আইন পরিষদ সদস্যবৃন্দ ও এক মেয়রের শুভেচ্ছা জানিয়ে অনুষ্ঠানের সফলতা কামনা।

অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশ হেরিটেজ এন্ড এথনিক সোসাইটি অব আলবার্টা এর সভাপতি দেলোয়ার জাহিদেরসভাপতিত্বে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও প্রবাসে তা বিকাশের উপর গুরুত্বারূপ করে মনোজ্ঞ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধান অতিথি ছিলেন সহযোগী মন্ত্রী সন্মানিতনরেশ বারধাজ এবং বিশেস অতিথিসন্মানিতসোহেল কাদরী এমএলএ ও, সন্মানিতজানিশ শেরীখ এমএলএ ও  এবং মেয়র জন ওয়েলী (লিডিউক কাউন্টি)।

 

দেলোয়ার জাহিদ বলেন পহেলা বৈশাখ তথা বাংলা নববর্ষ উদযাপনের মাধ্যমে আমরা আমাদের ঐতিহ্যকে লালন করি, ইতিহাসকে তুলে ধরি, ধর্মাচার, খাদ্যাভ্যাস, পোষাক ও শারীরিক শৈলীকে প্রকাশ করি। প্রবাসে নববর্ষ উদযাপনের মাধ্যমে অন্য সংস্কৃতির সাথে আমরা সেতু বন্ধন রচনা করি।

প্রধান অতিথি সন্মানিতনরেশ বারধাজ বলেন কানাডা এমন একটি দেশ যেখানে আমাদের নিজ নিজ সংস্কৃতি মুক্তভাবে চর্চার সুযোগ আছে। আলবার্টাসরকার এ বিষয়ে খুব যত্নশীল। তিনি বাঙ্গালী সংস্কৃতির ভূয়সী প্রশংসা করেন।

সন্মানিতসোহেল কাদরী এমএলএ ও, সন্মানিতজানিশ শেরীখ এমএলএ উভয়েই বাঙ্গালী সংস্কৃতির পদচারনাকে স্বাগত জানান এবং বাঙ্গালীদের এ উত্থানকে উৎসাহ ব্যঞ্জক বলে আখ্যা দেন।

মেয়র জন ওয়েলী তার ভাষনে একজন কৃষক থেকে রাজনৈতিক নেতা হবার প্রেক্ষাপট বর্ননা করেন। তিনি বাঙ্গালীদের মূলধারার রাজনীতিতে অংশ গ্রহনের আহ্বন জানান।

বেসার এক্স-অফিসিউ সহিদ হাসান ২০১৪ সালের কার্য্যনির্বাহী পরিষদককে পরিচয় করিয়ে দেন। সভাপতি ছাড়াও যথাক্রমে টমাল ইসলাম, আহসান উল্লাহ, মাজহারুল ইসলাম, এম আনামূর রহমাান মিয়া, ডলি ইসলাম ও ফারহানা ইসলাম প্রমুখকে।

বিকেলে জমে উঠে প্রবাসে ছোট্র একটি বাংলাদেশের পরিবেশ, বৈশাখী মেলা, শিশু-কিশোর আর নারী পুরুষের পদচারনায় শাড়ী-গহনা, বাশি, ঢোল আর রকমারী পিঠা, ফোসকা, পান্তা-ইলিশ, মুরগী, ডাল, সুটকী ভর্তা মানুষকে অনেকটা স্মৃতিকাতর করে তুলে।

 

রাতে সূরের মূর্ছনায় আর মুহুমুহু করতালিতে মেতে উঠে নববর্ষের আয়োজন। সঙ্গীত পরিবেশন করেন কিষাণ বাউল, জিনিয়া নাজ, খালেদ, নাতাশা রহমান, চামিলি লস্কর। অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় ছিলেন মাজহারুল ইসলাম।

কানাডার সন্মানিত প্রধানমন্ত্রী স্টিফেন হারপার, পিসি, এমপি বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে বাংলাদেশ হেরিটেজ এন্ড এথনিক সোসাইটি অব আলবার্টার কাছে প্রেরিত এক বার্তায় আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এ দিবসটি উদযাপনে সোসাইটির ভুমিকায়  ব্যক্তিগতভাবে তিনি উষ্ণ আনন্দ প্রকাশ করেছেন।

বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন পহেলা বৈশাখ, বাংলা নববর্ষে, আমি সবাইকে অত্যন্ত আন্তরিক ভাবে  উষ্ণ শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আজ রাতের উৎসব পরিবার ও বন্ধুবান্ধবদের সংগে একত্রে মিলিত হবার, এবং যে বছরটি গত হয়েছে তার ঐতিহ্যকে প্রতিফলিত করার সুযোগ সৃষ্টি করা। আপনাদের জীবনে প্রতিফলিত অতীত ঐতিহ্য ও আচারানুষ্ঠান আমাদের দেশেও অবদান রাখছে।

বাংলাদেশ হেরিটেজ এন্ড এথনিক সোসাইটি অব আলবার্টা এর সভাপতি দেলোয়ার জাহিদের কাছে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে ডোনাল্ড স্মীথ একবার্তা প্রেরন করেন। এছাড়াও আলবার্টা প্রদেশের প্রিমিয়ার ও মিনিষ্টার ফর ইনোভেশন এন্ড এডভান্সড এজুকেশন সন্মাণিত ডেভিড হ্যানকক কিউসি, সন্মাণিত স্পীকার জেনে জুঝডেস্কী, সন্মাণিত হিউম্যান সার্ভিস মিনিষ্টার মানমেট এস বোলার, পাবলিক সেফটি সহযোগী মন্ত্রী, রীক ফ্রেছার, এমএলএ ও নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে বার্তা পাঠিয়েছেন।

উত্তর আমেরিকায় এবার নজির বিহীন উৎসাহ উদ্দিপনায় বাংলা নববর্ষ উদযাপিত হয়েছে।

 

 

 

সংযুক্তছবিতেদেলোয়ারজাহিদও অতিথিবৃন্দ