ছাপা 

 

 

 

 

বাংলাদেশের এই অস্থিতিশীল অবস্থা দেশটিকে অচিরেই গৃহযুদ্ধের দিকে নিয়ে যেতে পারে বলে বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিবর্গের ধরনা। আওয়ামীলীগ সরকারের দমননীতি ও বিরোধীদল বি,এন,পি এর অঙ্গসংগঠনের জ্বালাও-পোড়াও একদিকে দেশটি অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মুখে ফেলেছে অন্যদিকে গনতান্ত্রিক অধিকার ব্যাহত হচ্ছে। বিরোধীদলগুলোর কিছু অংশের সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ড এবং সরকারের সন্ত্রাস দমন নামে ক্রসফায়ারে পুলিশবাহিনী দ্বারা মানুষ হত্যায় লিপ্ত হচ্ছে...এতে করে সব দলগুলো এ দেশে গণতন্ত্র চর্চার নামে যে অপচর্চায় লিপ্ত হয়েছে তা এক কথায় দেশদ্রোহী ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ছাড়া আর কিছু দিয়ে ব্যাখ্যা করার মত ভাষা খুঁজে পাওয়া যায় কিনা আমার জানা ছিলনা।

 

দেশের এই পরিস্থিতির জন্য কোন দল বা সংগঠন এর দায়ভার এড়িয়ে যেতে পারে না।সরকারের উচিত বিরোধীদলগুলোর সাথে সংলাপে বসে আলোচনার মাধ্যমে দেশের অস্থিতিশীলতা দূর করা ও একটি মধ্যবর্তী নির্বাচন দিয়ে সংসদে বসে এর সমাধানের পথ খুঁজে বের করা এবং গণতন্ত্র চর্চার মাধ্যমে দেশের শান্তি ফিরিয়ে আনা।আর উভয় দলই যদি দেশটিতে শান্তি ফিরিয়ে আনতে ব্যর্থ হন, তাহলে আপনাদের কাছে আমার একটা অনুরোধ রাখলাম যতক্ষণ না আপনারা গণতন্ত্র চর্চার মাধ্যমে নিজেদেরকে সুধরাতে পারছেন ততক্ষণ পর্যন্ত আপনারা যে যার যার জায়গা থেকে সরে এসে আইনের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন। ১৯৭১ সালে লক্ষ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে এ দেশ স্বাধীন হেয়েছে। একটি স্বাধীন ও সার্বভোম দেশে রাজনীতির নামে আপনারা যে রাজতন্ত্র ও নায়িকাতন্ত্র কায়েম করতে চাচ্ছেন তা একটি গণতান্ত্রিক দেশে কখনোই কাম্য নয়। আইনের উর্ধে কেউ নয়, তাই আমি বাংলাদেশের আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীদের অনুরোধ করব যে আপনারা এভাবে বসে থাকতে পারেন না। এ দেশের সাধারন জনগনের জানমান রক্ষার দায়িত্ব আজ আপনাদের হাতে, এরা খেঁটে খাওয়া মানুষ, এরা জীবিকা নির্বাহ করার জন্যে রাস্তায় বের হয়, এরা রাজনীতি বুঝেনা, এরা দুমুঠো ভাত আর লজ্জা নিবারনের দুটুক্র কাপড় পেলে হেসেখেলে জীবন কাটিয়ে দিতে পারে। এদেরমত সন্তুষ্টি জাতি পৃথিবীতে খুবই কম দেখা পাওয়া যায়। রাজনৈতিক দলগুলো যদি দেশে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে ব্যর্থ হয় তা হলে আপনারা এখন থেকেই আইন প্রনয়ন করে এইসব অশুভ চক্রের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করার জন্যে বিনীতভাবে অনুরোধ করছি।